নগরের বিভিন্নস্থানে হরতালের সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে হরতাল কর্মসূচি শুরুর পর বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের মিছিল নগরের নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালী মোড়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরের তিন পুলের মাথায় জড়ো হন বাম জোটের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদিঘী, কোতোয়ালী মোড়, নিউমার্কেট, স্টেশন রোডসহ নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাম জোটের নেতা চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-সমাবেশ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। নগরের নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালী মোড়ে মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা ও ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটে। এতে কোনো নেতাকর্মী আহত হয়নি। কাউকে আটকও করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, আমরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল-সমাবেশ করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো যানবাহন চলাচলে বাধা প্রদান করেনি। শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ করে আমরা জনগণকে আহ্বান জানিয়েছি, একতরফা যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে সেটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। এভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করে আরেকটি ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আমরা চাই না।
এদিকে হরতাল চলাকালে নগরে যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিসও যথানিয়মে চলছে। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ আছে। ট্রেনসূচি অনুযায়ী চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে।
তবে মিছিল-সমাবেশে পুলিশের বাধার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার অতনু চক্রবর্তী জানান, আমরা কোথাও বাধা দিইনি। তাদের অভিযোগগুলো বিচ্ছিন্ন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ছোট ছোট করে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছে।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।