চট্টগ্রাম-১০ আসনের ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেছেন, আমি মানবতার সেবক। ৩০ বছর ধরে মানবসেবায় নিবেদিত আছি।
আমি নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনী এলাকা একটি আদর্শ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হবে। এই এলাকায় হানাহানি সংঘাতের কোনো স্থান হবে না।
কোনো ভেদাভেদ ছাড়া সুষম উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখন পর্যন্ত আমি ১০৩টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে স্থায়ীভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মানবসেবার অংশ হিসেবে আমি সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকালে দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগী হতে চাই, বেকারদের কর্মসংস্থান চাই। নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম-১০ এলাকার রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবো। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সবুজ এলাকায় পরিণত করবো। সর্বসাধারনের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কবাতির ব্যবস্থা করা হবে। এলাকাবাসীর সুখ-শান্তি ও নিরাপদ জীবন ব্যবস্থায় সচেষ্ট থাকবো।
এদিন মোহাম্মদ মনজুর আলম আব্দুরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পথসভা থেকে গণসংযোগ শুরু করে আব্দুরপাড়া ঘুরে ফইল্যাতলী বাজার এলাকা হয়ে সাবেক মন্ত্রী ডা. মো. আফসারুল আমীনের বাড়ির পাড়ায় গণসংযোগকালে সাবেক মন্ত্রীর কবর জেয়ারত করেন। গণসংযোগের পর তিনি সাগরিকা রোড, ফৌজদার পাড়া পাঠানদের মাঠে উঠান বৈঠকে যোগদান করেন।
পথসভা ও উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ ফয়সাল। এছাড়া পথসভায় মতবিনিময় করেন বাবুল মেম্বার, নাসির উদ্দিন, ইসরাইল, নুর আহমদ, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল খালেক, জানে আলম, আব্দুল হাকিম, মোহাম্মদ হাছান, হাফেজ হোসেন, জসিম উদ্দিন, করিম উল্লাহ জাকির হোসেন খান, মোহাম্মদ সাইদুল, রাজন ধর, আব্দুল হালিম, রমজান আলী, সাত্তার, মোহাম্মদ ফিরোজ প্রমুখ।
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সকালে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম তার নিজবাড়ি ও মোস্তফা-হাকিম কর্পোরেট অফিসে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করেন। তিনি মোনাজাতে শরীক হয়ে দেশ- জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।