উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় আবারও জেঁকে বসেছে শীত। গত দুই দিন থেকে শুরু হয়েছে হিমবাতাস।
তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে কুয়াশা। এতে করে বিকেলের পর থেকেই বেড়ে যাচ্ছে শীতের তীব্রতা।
মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস। গতকাল জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে ভোরপর্যন্ত কুয়াশা আর সারাদিন হিমবাতাস থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে বের হওয়া খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষগুলো। দুপুর পর্যন্ত ঢাকা থাকছে সূর্যের মুখ। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও সে রোদে মিলছে না উষ্ণতা।
বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এলাকার রিকশা চালক জিয়াউর রহমান বলেন, কয়েকদিন তেমন শীত ছিল না। গত দুই দিন থেকে আবার হিমেল হাওয়া আর শীত শুরু হয়েছে। রিকশা চালানো যাচ্ছে না। ঠাণ্ডার কারণে তেমন মানুষও পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিক মতো আয় না হওয়ায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের ৬০ বছর বয়সী আব্দুর রহিম মণ্ডল বলেন, শীতে অবস্থা খুব কাহিল। এরকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর খুব সমস্যা। এমনিতেই অসুখে চলতে পারি না।
কৃষক আকবর আলী বলেন, প্রচণ্ড শীত সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা বাতাসে গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরুর গায়ে চট দিয়েছি। যাতে কোনো রোগ না হয়।
নওগাঁ বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, গত দিনের তুলনায় মঙ্গলবার জেলায় তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী। হিমবাতাসের সঙ্গে কুয়াশা থাকায় শীত জেঁকে বসেছে। দিনে সূর্যের দেখা মিললেও এর তাপমাত্রা কম থাকায় ঠাণ্ডা কমছে না। আগামী কয়েকদিন জেলায় তাপমাত্রা উঠা নামা করতে পারে