শফিউল আলম, রাউজান । প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত হালদা নদীতে গত ৭ মে মঙ্গলবার মা মাছ প্রথম ধাপে ডিম ছাড়ে। ঐদিন ভোরে নদীতে ভাটার সময়ে হালদা নদীর বিভিন্ন স্পটে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেন। দুপরে জেয়ারের সময়ে ও নদীর বিভিন্ন স্পটে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেন। গত ৭ মে মঙ্গলবার হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহের পরিমান ১ হাজার ৬শত ৬০ কেজি । নদী থেকে ডিমসংগ্রহ করার পর ডিম সংগ্রহকারীরা রাউজানের মোবারক খীল হ্যচারী, পশ্চিম বিনাজুরী আই,ডি,এফ ”এর হ্যচারী ও হাটহাজারীর চারটি হ্যচারী সহ নদীর তীরে খনন করা মাটির কুয়ায় ডিম রেখে রেনু ফুটানো হয় । ১ হাজার ৪শত ৬০ কেজি ডিম থেকে ৪২ কেজি রেনু উৎপাদন হয় বলে জানা যায় । প্রতি কেজি রেনু একলাখ ১৫ হাজার টাকা থেকে একলাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রয় করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা । ডিম সংগ্রহকারী নুরুল ইসলাম বলেন রাউজানের গহিরা মোবারক খীল হ্যচারী থেকে প্রতি কেজি রেনু একলাখ ১৫ হাজার টাকায় দরে ৪শত গ্রাম রেনু ডিম ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন মাছ চাষী রাউজান পৌরসভার কাউন্সিলর আলমগীর আলী। এব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা মৎস অফিসার ফারুখজ্জমানকে ফোন করে জানতে চাইলে, হাটহাজারী উপজেলা মৎস অফিসার ফারুখজ্জমান বলেন হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা ডিম থেকে রেনু উৎপাদন করে রেনু বিক্রয় করা হচ্ছে । কি পরিমান রেনু উৎপাদন হয়েছে তা জানতে চাইলে, হাটহাজারী উপজেলা মৎস অফিসার ফারুখজ্জমান বলেন, তা হিসাব করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে । মনত্রনালয় অনুমোধন দিলে তা জানানো হবে । হালদা গবেষক চট্টগ্রাম ক্যন্টনমেন্ট পাভলিক কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীতে প্রথম ধাপে মা মাছ ডিম ছেড়েছে । আগামী পুর্ণিমার জোঁ”তে আবারো প্রবল বর্ষন ও বজ্রপাত হলে নদীতে পাহাড়ী ঢলের ম্রোতের পানি নেমে আসলে ২য় ধাপে আবারো হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার সম্ভবনা রয়েছে ।
প্রথম ধাপের ডিম থেকে ফুটানো রেনু বিক্রয় শুরু
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন