আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে নগরীতে জবাইকৃত কোরবানীর পশুর নাড়িভুড়ি ও বর্জ্য অপসারণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। বর্জ্য অপসারণ কাজের সুবিধার্থে ৪১টি ওয়ার্ডকে ০৬টি জোনে ভাগ করে নাড়িভুড়ি, বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সোমবার বিকলে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী’র সভাপতিত্বে জোন প্রধানদের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারাপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা জহুর। বক্তব্য রাখেন-চসিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আমিন, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর ছালেহ্ আহম্মদ চৌধুরী, হাজী নুরুল হক, আবদুস সালাম মাসুম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী ভূঁইয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো.মোরশেদুল আলম, ম্যালিরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত মেয়র আফরোজা জহুর বলেন, কোরবানী পশুর বর্জ্য অপসারন সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব। আমরা ইতোমধ্যে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। কোন অবস্থাতেই বর্জ্য অপসারণ কাজের দায়িত্বে অবহেলা করা যাবেনা। তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতির তত্ত¡াবধানে ৬টি জোনে ৬ জন কাউন্সিলর এই কাজ তদারকি করবেন। বিকেল ৫টার মধ্যেই যাতে জবাইকৃত পশুর নাড়িভুড়ি ও বর্জ্য সরিয়ে ফেলা যায় সে ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের তৎপর থাকতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের সড়কবাতিগুলো যাতে সচল থাকে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কোরবানীর বর্জ্য অপসারন সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে তাৎক্ষনিক যোগাযোগের জন্য দামপাড়া অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমে ০২৩৩৩৩৮৯১২১ এবং ০২৩৩৩৩৮৯১২২ এ দুটি নাম্বারে কোরবানির বর্জ্য সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ জানাতে পারবে নাগরিকরা।