বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে আওয়ামী স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সকল উন্নয়ন কাঠামো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এই সরকারের কাছে জনগণের অধিকার বলতে কিছুই নেই। দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। জনগণের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী জেলে বন্দি। প্রতিনিয়ত মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে কোর্ট চত্বরে দিন কেটে যায় বিএনপি নেতা কর্মীদের। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় বন্দি রেখেছে। তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই জুলুমবাজ সরকারের কাছে বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়ে কোন লাভ নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তিনি শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় মহানগর বিএনপির নবনির্বাচিত আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানকে নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এর আগে নেতৃবৃন্দ নগরীর ওয়াসা মোড় থেকে এক বিশাল মিছিল নিয়ে আলমাস মোড়, কাজীর দেউরী, নুর আহম্মেদ সড়ক হয়ে নাসিমন ভবনে আসেন। এসময় মীর হেলাল বলেন, গতিশীল ও আদর্শিক নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল নিয়ামক। সকল মান অভিমান, মতভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল না হলে কেউ রক্ষা পাবে না। দেশনায়ক তারেক রহমান আপনাদের প্রতি আস্থা রেখে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সে আস্থার প্রতিফলন ঘটানো আপনাদের ঈমানি দায়িত্ব। আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেন, মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সরকারের হয়রানির শিকার হয়ে খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি থাকার ফলে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিম জানিয়েছেন, তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যে ধরনের চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন তা দেশে সম্ভব নয়। মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছেন যে, খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভান্সড সেন্টার এ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া জরুরি। কিন্তু সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। নাজিমুর রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আওয়ামী সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে গৃহবন্দি করে রেখেছে। বন্দি থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আরও তীব্র হয় এবং তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। এই ডামি সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ, জাসাসের সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন। এতে মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ সহ ১৫ টি থানা ও ৪৩ টি ওয়ার্ডের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জনগণের অধিকার বলতে কিছুই নেই: মীর হেলাল
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন