চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দু’জনের মৃত্যুর যে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন। মঙ্গলবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে সেহেলি বলেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রের ওই দাবির পক্ষে এখনো কোনো প্রমাণ নেই। তথ্য যাচাই না করেই যুক্তরাষ্ট্র এমনটা বলছে, তাদের এই ভিত্তিহীন দাবি চলমান সহিংসতাকে আরও উসকে দিতে পারে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সেগুনবাগিচায় সেহেলি মঙ্গলবার জরুরি ব্রিফিং ডাকেন। সেখানে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একটি প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের জবাবে বাংলাদেশ অত্যন্ত হতাশ। ম্যথিউ চলমান ছাত্রবিক্ষোভে কমপক্ষে দু’জনের মৃত্যুর যে দাবি করেছেন, তার পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। সেহেলি বলেন, এখানে অযাচাইকৃত তথ্যের ব্যবহার করা হয়েছে। যা সহিংসতাকে আরও উসকে দিতে পারে। সেই সঙ্গে অহিংস প্রতিবাদ বা আন্দোলনের অনুমতি দেয়ার জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে।
সেহেলী সাবরীন বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি। সরকার জনগণের সম্পত্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করার পাশাপাশি নাগরিকদের সেই অধিকারগুলোকে সমুন্নত রাখতে অবিচল। গণতন্ত্র ও রাজনীতিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রাণনাশের একটি ভয়াবহ অপচেষ্টা লক্ষ করেছি।