চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অপসারণের দাবিতে পরিষদ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র জনতা ও এলাকাবাসী। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে শিকলবাহা প্রাঙ্গণে মিছিল সহকারে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেছেন ছাত্ররা। এতে শিকলবাহা ইউনিয়নের সর্বস্তরের ছাত্র জনতা ও এলাকাবাসীরা অংশ নেন বলে জানান।
এ সময় বিক্ষোভকারী ছাত্ররা চেয়ারম্যান নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেন। ছাত্র জনতা ও এলাকাবাসী মিলে আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিষদে অবস্থান নিয়েছিলেন। জানা গেছে, এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদ তালা দিয়েছিলেন ছাত্ররা।
বিক্ষোভকারী ছাত্ররা আরএ জানান, আমরা জেনেছি যেসব ইউপি চেয়ারম্যানেরা ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারছেন না। সে সব ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যানের তালিকা করেছেন জেলা প্রশাসক। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন দ্রুত প্যানেল চেয়ারম্যানদের নিয়োজিত করেন।
ছাত্রদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিরুদ্ধে। আমি ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থক করি। তাঁরা দেশের স্বার্থে কাজ করুক। সমস্যা নেই।’
চেযারম্যান আরও বলেন, কয়েকদিন ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরিপত্র দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ সচল রাখার জন্য। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্দেশনা দিলেন কিভাবে পরিষদ পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু মাঠের পরিবেশ পরিস্থিতি ভিন্ন। তবুও আমরা বলব, সরকার সারা দেশের চেয়ারম্যানদের বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত দেয় আমরা মেনে নেব।’
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান যদি পরিষদে আসতে না পারে সেক্ষেত্রে প্যানেল চেয়ারম্যানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে সেটা সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের এখতিয়ার।’
মানবাধিকার আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। এমপি, মেয়রদের মতো ইউপি চেয়ারম্যানের পদ এখনো শূন্য ঘোষণা করেনি সরকার। সুতরাং স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ সচল রাখার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। এমনকি ইউএনও-ওসি ও বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’