উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি নেতা আসিফ খান (সবুজ) মিছিল শেষ এ ৬ অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ৪টায় বাজালিয়া বাসস্টেশন বক্তব্যে বলেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দমনপীড়ন থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী রেহাই পায়নি।
মামলা হয়েছে দেড় লাখ, আসামি ৬০ লাখ। নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের পিতা, সন্তান এমনকি স্ত্রীকেও ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। এবার সরকার পতনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির নেতাকর্মী। তিনি বলেন, “সব মত ও পথের ব্যক্তির পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। প্রতিবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বিএনপি। ৫ আগস্ট গণতন্ত্রের পথ সুগম হয়েছে। দেশের মানুষের আখাংকার প্রতিফলন হিসেবে রাজপথে নেমে এসেছে বিএনপি। আন্দোলনে কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য নয়, বরং দেশের মানুষের জন্য রাজপথে নেমেছে বিএনপি।
“তিনি বলেন, “যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, এর প্রকাশ ছিল ১০ ডিসেম্বরের ১০ দফায়। শেষে এক দফা আন্দোলন শুরু করে সে সময় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়। বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে সারা দেশ। ১৯ তারিখ বন্ধ করে দেওয়া হয় বিএনপি কার্যালয়। প্রেপ্তার করা হয় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে। বহুমাত্রিক নিপীড়ন উপেক্ষা করে বিএনপি রাজপথে ছিল। সাভারে গান পাউডার দিয়ে যে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে তার মধ্যে বিএনপি নেতাও ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের ওপর অত্যাচার চালিয়ে, লাখ লাখ নেতাকর্মীকে ঘরছাড়া করেছে, আওয়ামী লীগের বিচার আদালত করবে।


