চট্টগ্রাম নগরীর জে এম সে হলের দুর্গাপূজার একটি মণ্ডপে একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর ইসলামি সংগীত পরিবেশন করা নিয়ে উত্তেজনা তৈরির পর এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, স্বাভাবিক নিয়মেই পূজা দিচ্ছে পূজার্থীরা। রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাসদস্য। গত রাতে উত্তেজনা থাকলেও সকালের দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে একজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকাল ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। গত রাতে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ৬ সদস্যের একটি দল মঞ্চে উঠে ইসলামিক গান পরিবেশন করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গানটি ভাইরাল হলে ক্ষোভ জানায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এই সময় রাতে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করে মণ্ডপের আশপাশে।
পরে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন। এই মুহুর্তে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে পূজামণ্ডপ এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা, র্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
জানা গেছে, পূজা উদ্যাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি পূজামণ্ডপে গান করতে যায়। সংগঠনটির সদস্যরা শাহ আবদুল করিমের বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’ গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল জানান, সংগঠনটির সদস্যরা যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে গান পরিবেশন করেছেন। তারা আমাদের অনুমতি নিয়ে এসেছে।
অন্যদিকে, সংগঠনের সভাপতি সেলিম জামান দাবি করেন, তারা কোনো জোরপূর্বক কাজ করেননি, বরং দাওয়াত পেয়ে গান করতে গিয়েছিলেন।