বাকস্বাধীনতার পক্ষে কথা বলার মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়নি ১৭ বছরে, কারণ স্বৈরাশাসক জনগণের মুখে তালা লাগিয়ে দিয়ে রেখেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে গেলেই হামলা-মামলা ও গুম যেন নিত্যদিনের কাজ। সারাদেশে সাত শতাধিক মানুুষ গুম করেছে আওয়ামী সরকার। ৭৩ জন বিএনপির নেতাকর্মীকেও গুম করা হয়েছে এ সময়ে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য গণঅভ্যুত্থানের এই বিপ্লবের বিকল্প আসলেই ছিল না। জুলাইয়ের বিপ্লবের এত রক্তের বিনিময়ে যে আমরা মুক্ত হতে পেরেছি এটাই আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। রাষ্ট্র সংস্কার করে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই হবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল উদ্দেশ্য এবং জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন বক্তারা।
১১ অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় চবি ব্যাচ-৩১ ক্লাব লিমিটেড মিলনায়তনে পিপলস একশ্যান পার্টির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিকারের ফোকাল পার্সন ওচমান জাহাঙ্গীর ও মুজিবুল্লাহ তুষারের যৌথ সঞ্চালনায় আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম এর সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী। আরো বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক এম এ সবুর, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক সরোয়ার আমিন বাবু, লেখক-সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন এলেন, দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রামের নির্বাহী সম্পাদক মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, আরকেএ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহেদুল করিম বাপ্পী, জাতীয় নাগরিক কমিটির লায়ন মো. মোসলেহ উদ্দিন খান, আলহাজ্ব মনির আহমদ ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা এ কি এম মোসলেহ উদ্দীন, চট্টগ্রাম সুহৃদের সংগঠক সাংবাদিক জাহেদ কায়সার, জিয়া শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুর হক, মানবাধিকার কর্মী জহিরুল ইসলাম, রাজনৈতিক কর্মী শহীদুজ্জামান, চট্টগ্রাম কম্প্লাইন্স-এর প্রেসিডেন্ট নাজিম উদ্দিন সাগর, রাজনীতিবিদ ও সংগঠক হামিদুল হক চৌধুরী, গুম হওয়া সৈয়দ মোহাম্মদ আবু জাফরের সন্তান মোহাম্মদ জিসানুর রহমান, মুমিনুল হক আনিস, সমাজকর্মী হাজী শহীদুর রহমান খোকন, নোমান উল্লাহ বাহার কাইমুর রশিদ বাবু। অনুষ্ঠানের অধিকার-এর বিবৃতি পাঠ করেন লেখক-সাংবাদিক আবদুল্লাহ মজুমদার।