ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরালড গুলব্র্যান্ডসেন বলেছেন, জলবায়ুজনিত অভিযোজন, শস্যের বহুমুখীকরণ, এক ফসলি জমিতে দুই বা ততোধিক ফসল চাষ ও মৎস্যখাতে একযোগে কাজ করার বিষয়ে নরওয়ের বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু, বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, দেশের আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ ও রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত হয়। শুরুতে কৃষি উপদেষ্টা নরওয়ের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত নাইট্রোজেন সার রপ্তানিতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানালে উপদেষ্টা জানান, দেশে সারের চাহিদা রয়েছে। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন দেশ থেকে সার আমদানি করছি, নরওয়েও চাইলে জিটুজি বা বেসরকারি খাতের মাধ্যমে সার রপ্তানি করতে পারে।
এ সময় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। এসময় কৃষি উপদেষ্টা নরওয়েতে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ, নরওয়, রাষ্ট্রদূত, আমদানিবাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নরওয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে না, অচিরেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
উপদেষ্টা বলেন, কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। বিভিন্ন পদে পুলিশের নিয়োগ চলমান রয়েছে। পুলিশের মনোবল চাঙ্গা করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান আছে। পুলিশের সংস্কারে নরওয়ে সহযোগিতায় আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে পুলিশ সংস্কার কমিশনকে বলা হবে বলে যোগাযোগ করে।
সাম্প্রতিক বন্যায় দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শস্যহানির কারণে কিছু কিছু খাদ্যশস্য কেনা হবে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ জানালে কৃষি উপদেষ্টা তাকে ধন্যবাদ জানান এবং এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় তথা সরকারেরও আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। উপদেষ্টা কৃষি ও মৎস্যখাতে বাংলাদেশ থেকে তরুণ গবেষক নেওয়ার জন্য নরওয়েকে অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয় ও নরওয়ে দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।