আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানের পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিত্ব করতে আসেননি বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
দায়িত্ব পাওয়ার পর সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি আওয়ার টিম ইজ গ্রেট। আমরা সামনে একটা মিটিংয়ে বসবো। সেখানে আমরা ব্রেইন স্ট্রিমিং করবো-আমরা কী কী করতে পারি। আমরা চলে যাওয়ার পর যাতে বলতে পারি- দৃশ্যমান কিছু করেছি। সেটা রেডি হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার সামনে উপস্থাপন করবো।
সেটা অনুমোদন পাওয়ার পর আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো, আপনারাও জানবেন। রোড ম্যাপ কি দিয়েছি, আমরা কি কি করতে চাই। আমরা চলে যাওয়ার দিন আপনারা বিচার করতে পারবেন কয়টায় সফল হয়েছি, কয়টায় ব্যর্থ হয়েছি। যেগুলোতে ব্যর্থ হয়েছি সেগুলোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেব।
বলা হচ্ছে আপনার চেতনা ৫ আগস্টের সঙ্গে ছিল না। ছাত্র সমন্বয়করা আপনার সমালোচনা করছেন। এটা আপনি কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘কথা হচ্ছে আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমার অবস্থান কী, আমি কী করি, আমি কী করেছি, আমার গত ১৫ বছরের ফেসবুক ঘাটলে দেখা যাবে। শুধু দু-চারটি পোস্ট ঘাটবেন না, সব ঘাটেন। আমার সিনেমাগুলো দেখলেও বোঝা যাবে আমার অবস্থান কি?
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টের পক্ষে আমার অবস্থান, এটা একটা অবিশ্বাস্য কথা। এটা নিয়ে উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। আমার লেখাগুলো পড়েন। ‘এই চেতনা লইয়া আমরা কি করিব’- ২০১৪ সালে লিখেছি, যেদিন থেকে ফ্যাসিজমের সূচনা হয়েছিল শাহবাগে, পড়ে দেখেন। এছাড়া ‘কিন্তু এবং যদির খোঁজে’ নামে একটা লেখা লিখেছিলাম ২০১৫-তে।
ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান ছিল কি না- সেটার পুরস্কার হিসেবে তো আমি মন্ত্রিত্ব করতে আসিনি। আমি কাজটি করতে পারবো কি না সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যারা আমাকে বিশ্বাস করেছে আমি কাজটি করতে পারব। তখন আমি চিন্তা করলাম, আমি পারবো কি না। আমি যখন ভাবলাম হ্যাঁ, হয়তো পারবো। তখনই এসেছি।
ফারুকী বলেন, ফলে আমাকে কাজ দিয়ে বিবেচনা করবেন। আমি কত বড় ফ্যাসিস্টবিরোধী এটার পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিত্ব প্রয়োজন নেই।