১৯৭১ সালে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় যখন দেশ অন্ধকারের মধ্যে, তখন মেজর জিয়া এই কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ইতিহাস নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু জনগণের হৃদয় থেকে মুছতে পারেনি। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যাননি, রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।
চট্টগ্রামের জিয়া কমপ্লেক্সকে পুনরায় জিয়া স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নামে পুনর্বহাল করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১১টায় নগরীর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের সামনে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় যুবদলের উদ্যোগে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পর আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। তরুণ প্রজন্মের কাছে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিটি সেক্টরে জিয়াউর রহমানের অবদান রয়েছে। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছেন, কোন অপশক্তি যেন পুনরায় অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ না পায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কিশোর গ্যাং আমাদের মিছিলে যাতে যুক্ত হতে না পারে, সেই জন্য তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ ভাগ্যবান। কারণ জিয়াউর রহমান এই চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। চট্টগ্রাম বিএনপির পুণ্যভূমি। শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রাম।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাবেক উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ,সোহেল, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।