কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী এবং নিরীহ জনগণকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় পেকুয়ার শিল খালী ইউনিয়নের সাকুরপাড় স্টেশনে এই মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা এলাকার আকতার আহমদের পুত্র মিশুক চালক নাজিম উদ্দিন ওরফে গুরামিয়াকে সদর ইউনিয়নের মুরার পাড়ার রাস্তার মাথায় টমটমের ব্যাটারী চুরি করার কারণে এলাকাবাসী মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী পাউবোর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ওই জায়গায় পিটিয়ে দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
এসময় মুমুর্ষ অবস্থায় গুরামিয়াকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাজেম উদ্দিন ওরফে গুরামিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের মা দিলদার বেগম গত ১৬ ডিসেম্বর পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা শাহেদুল ইসলাম কে হয়রানির উদ্দেশ্যে প্রধান আসামি করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সদর ইউপির পুর্ব মেহেরনামা এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে লিয়াকত আলী (৩৫), মৃত ওবায়দুল হোসেনের ছেলে মো.শহিদুল্লাহ (৫০), কবির আহমদের ছেলে আমান উল্লাহ (৩০), শহিদুল্লাহ ছেলে মো. বাদশাহ (২৫), গোলাম কাদেরের ছেলে ঈমাম উদ্দিন (৩৫), মুবিন উদ্দিন (৩২), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো.ছোটন (২৫), মৃত আবদুল মতলবের ছেলে এনাম হোসেন (৫০), সৈকত পাড়ার নুরুল আলম, পুর্ব মেহেরনামা পশ্চিম পাড়ার মনু সওদাগের ছেলে মুবিনুল ইসলাম (৩০) ও শিলখালী সবুজ পাড়ার মৃত হাছান আলীর ছেলে মো.কাছিম আলী (৫০)। এছাড়া মামলায় আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ জনগণকে হয়রানীর প্রতিবাদে শুক্রবার(২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় পেকুয়ার শিল খালী ইউনিয়নের সাকুরপাড় স্টেশনে মানববন্ধন করেছে শত শত এলাকাবাসী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জালাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, নাদের হোসেন, রোকসানা প্রমুখ।
মিথ্যা মামলায় নিরীহ মানুষ কে আসামি করা হয়েছে অভিযোগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের মাস্টারের ছাত্র জালাল আহমদ বলেন, “প্রকৃত আসামীদের আড়াল করে হয়রানির উদ্দেশ্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ব্যবসায়ী ও নিরীহ জনগণকে আসামী করা হয়েছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে নিরীহ জনগণকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করছি ।”