বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মান্যবর মহাসচিব স উ ম আব্দুস সামাদ বলেছেন, মানবতা বিরোধী বিশ্ব অপশক্তি ইসরাইলী ইহুদিদেরকে গোটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। এরা হায়েনার চেয়েও দশগুন হিংস্রতা নিয়ে বিগত সত্তর বছর যাবৎ নিরীহ ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করে যাচ্ছে, এদের হিংস্রতা থেকে নারী ও শিশুরাও কখনো রেহাই পায়নি। এরা আরব ভূখন্ডে অবৈধ দখলদার হয়েও পরাশক্তিদের সহায়তায় রক্তের হোলি খেলা অব্যাহত রেখেছে। বিশ্ব মোড়লদের ইশারায় জাতিসংঘ এ জায়নবাদী ইহুদিদের বর্বরতা থামানোর উদ্যোগ কখনো নেয়নি।
তিনি ৭ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে ফিলিস্তিনের রাফা ও গাজায় ইসরাইলী ইহুদিদের গণহত্যা বন্ধের দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা শেখ আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ইহুদি গবেষক থিউডর হার্জেল ঞঐঊ ঔঊডওঝঐ ঝঞঅঞঊ নামে একটি বই লিখে বলেছিলেন, আজকের মিশর, জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও ফিলিস্তিন নিয়ে পৃথিবীর সমস্ত ইহুদিদের একত্রিত করে একটি রাষ্ট্র গঠন করতে হবে এটা হবে পৃথিবীতে একমাত্র “ঈশ্বরের রাজ্য”। সেই রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দেয়ার হুমকী দিয়েছেন। প্রধান অতিথি বলেন, পৃথিবীর সমস্ত মানবতাবাদী রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলী ইহুদিদের বর্বরতা রুখে দাঁড়ালে ওদের পৃথিবীতে বসবাসের স্থান হবেনা। তিনি অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘের নিকট আহবান জানান। সমাবেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য এম সোলায়মান ফরিদ বলেন, ১৯০৫ থেকে ১৯১৪ পর্যন্ত চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বৃটেনে বসবাসকারী দুই ইহুদি নেতা ধনকুবের ওয়াল্টার রথ চাইল্ড ও ওয়াইজম্যান পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনে জায়গা জমি করে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইহুদিদের এনে আলাদা ইহুদি বসতি গড়ে তোলেন পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ঘর দখল করার জন্য এরাই পৃথিবীতে প্রথম তিনটি ইহুদি জঙ্গি সংগঠন “হাগানাহ”, “ইরগুন” ও “স্ট্যার্ণ গ্যাং” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে সবধরনের ইসরাইলী পন্য আমদানী বিক্রয় নিষিদ্ধ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরন নিকট আহবান জানান এবং ইসরায়েলী ইহুদিদের সবধরনের পন্য বর্জনের জন্য জনগণের নিকট আহবান জানান। বক্তব্য রাখেন আবুল হোসেন মাস্টার, ইকবাল হোসাইন, সৈয়দ আবু আজম, মহিবুল আলম চৌধুরী, মাওলানা নুরুল্লাহ রায়হান, এম নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস তৈয়বি, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন নিজামী, আলমগীর বৌদি, মাস্টার ইউসুফ, মাস্টার বদিবউর রহমান, নুর রায়হান চৌধুরী যুবনেতা এনামুল হক,হাবিবুল মুস্তাফা সিদ্দিকী, আলী আজগর, মোশারফ হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন খোকন, আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান, মোহাম্মদ ইয়াকুব, এটিএম রেজাউল মুস্তাফা, আবু তৈয়ব চৌধুরী, ওসমান কাদেরী, মোহাম্মদ শাকের, হেলাল হাসান, মোহাম্মদ সাজ্জাদ, কোরশেদুল ইসলাম, মহিউদ্দিন, হাফেজ নুর আলম, মাওলানা নুরুল কবির, বশির আহমদ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।


