মিরসরাই প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য তাহমিদ উল্ল্যা হত্যা ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২০)। জাহিদুল উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন উত্তর সোনাপাহাড় এলাকার মৃত মোঃ ইউসূফের পুত্র। শনিবার সন্ধ্যায় ধুম ইউনিয়নের তাজপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম। এসময় তার দেয়া তথ্য অনুসারে বারইয়ারহাট পৌরসভাস্থ ৭নং ওয়ার্ড জামালপুর রবিউল হক সওদাগর বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার দক্ষিণ পাশে পানির ড্রেন হতে হত্যকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় একটি প্রেস বিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার ৬টা ১৫ মিনিটে জোরারগঞ্জ থানাধীন বারইয়ারহাট পৌরসভাস্থ ৬নং ওয়ার্ড হাওয়া ভবন সংলগ্ন জামালপুর সড়কের সামনে তিন রাস্তার মাথায় সিনিয়র ও জুনিয়র সংক্রান্ত বিষয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় কদমতলা ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য মোঃ তাহমিদ উল্ল্যাহ (১৮) নিহত হয়। তাহমিদ বারইয়ারহাট পৌরসভাধীন পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের মোঃ আলমগীরের পুত্র। ঘটনার একদিন পর নিহতের মা বিবি জোহরা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রদল নেতা বলেন, গ্রেফতারকৃত জাহিদুল গণঅভুত্থানের আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। অভুত্থানের পর সে বিদেশ চলে যায়। পুনরায় দেশে ফিরে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূতিতে অংশগ্রহণ করতো।
জোরারগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী নাজমুল হক বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ এবং পর্যালোচনা করে হত্যাকান্ডে জাহিদুল ইসলামের সম্পৃক্তা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় জাহিদুলের দেয়া তথ্য অনুসারে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। জাহিদুলকে আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।


