ইউক্রেন যুদ্ধে বিস্ময়কর কোনো ফল আনার আশা নিয়ে চীন সফর করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন। বুধবার থেকে তিন দিনের এই সফর শুরু হওয়ার কথা। এ সফরে তারা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সফরে ম্যাক্রনের সফরসঙ্গী থাকছেন কমপক্ষে ৫০ জন সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তারা ফরাসি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে সবার চোখ থাকবে ম্যাক্রন ও ভন ডার লিয়েনের দিকে। তারা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় কি ফল নিয়ে আসতে পারেন, সেদিকে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর প্রথমবার গত মাসে রাশিয়া সফর করেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চমৎকার এক দস্তি বজায় রাখেন শি জিনপিং। তাদের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছে তাকে পুঁজি করে ম্যাক্রন এবং ভন ডার লিয়েন কোনো ফল আনতে পারেন কিনা তা এখন দেখার বিষয়।
সুইডেনের ইন্সটিটিউট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পলিসির সহযোগী রিসার্স ফেলো জসুসা আনা ফেরেনকিজি বলেন, প্রাথমিক ইস্যু হলো ম্যাক্রন এবং ভন ডার লিয়েন সম্ভবত চাইবেন রাশিয়া ইস্যুতে চীনের কিছুটা সমর্থন এবং যুদ্ধে সহায়তা। বাস্তব অর্থে এ থেকে আমরা বেশি কিছু আশা করতে পারি না। তবে আমি মনে করি, সবাই এ বিষয়ে একমত যে, এই বিষয়টাই অগ্রাধিকারে থাকবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থানে চীন। কিন্তু পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার অর্থনীতি এবং কূটনীতি যখন হোঁচট খেয়েছে তখন তাদের পাশে গিয়ে সমর্থন দিয়েছে চীন। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে এক দশকের বেশি সময়। গত মাসে শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরের সময় তারা সিনো-রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। এতে ইউক্রেন যুদ্ধে চীনকে মধ্যস্থতার বড় ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান ম্যাক্রন। কিন্তু ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনা ইস্যু করা ছাড়া বেইজিং তেমন কোনো অগ্রবর্তী অবস্থান নেয়নি।