জেলিফিশ নিয়ে বরাবরই বিজ্ঞানীদের একটা আগ্রহ রয়েছে। টারিটোপসিস ডোরনি নামে এক ধরনের জেলিফিশের খোঁজ মিলেছিল যাদের বলা হয় ‘অমর জেলিফিশ’। তবে এবার যে জেলিফিশের সন্ধান মিললো এককথায় সেটি সত্যিই ভয়ঙ্কর। বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত জেলিফিশের প্রজাতির খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। এই জেলিফিশের নাম দেয়া হয়েছে ট্রাইপেডালিয়া মায়পোয়েনসিস। চলতি ভাষায় এর নাম বক্স জেলিফিশ। প্রাণীটির ২৪ টি চোখ রয়েছে, এটি মাত্র আধা ইঞ্চি লম্বা হলেও এর হুলটি সাংঘাতিক বিপজ্জনক। এই প্রথমবার নতুন বক্স জেলিফিশ প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।
জেলিফিশের একটি স্বচ্ছ এবং বর্ণহীন ঘন-আকৃতির শরীর রয়েছে যার প্রতিটি কোণায় শুঁড় রয়েছে। এর শুঁড়ের প্রান্তগুলি সমতল এবং প্যাডেল-আকৃতির কাঠামো বিশিষ্ট। যা এটিকে অন্যান্য জেলিফিশের তুলনায় দ্রুত সাঁতার কাটতে সাহায্য করে।
এর ২৪টি চোখ সমানভাবে চারটি ভাগে বিভক্ত, প্রতিটিতে ছয়টি পিপার রয়েছে। পুুকুরে এরা ছোট মাছ, চিংড়ি ধরে খায়। দেখা গেছে, চিংড়িকে বৈদ্যুতিক শক দিতে পারে এই জেলিফিশ। তবে মানুষের সংস্পর্শে এলে কতটা ক্ষতি করতে পারে তা এখনও জানা যায়নি।
বন্যপ্রাণী সংস্থা WWF হংকং এবং ওশান পার্ক হংকং, সেইসাথে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালের গ্রীষ্মের মাসগুলিতে প্রকৃতি সংরক্ষণের একটি লোনা-জলের চিংড়ির পুকুর থেকে জেলিফিশের নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা পরীক্ষা করার সময়, তারা এমন একটি প্রজাতি খুঁজে পান যা তারা আগে দেখেননি। হংকং ব্যাপটিস্ট ইউনিভার্সিটির একটি দলের নেতৃত্বে গবেষণার ফলাফলগুলি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক একাডেমিক জার্নাল জুওলজিক্যাল স্টাডিজে প্রকাশিত হয়েছিল। এটি বর্তমানে শুধুমাত্র মাই পোতে পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে এই প্রজাতিটি পার্ল নদীর মোহনার সংলগ্ন পানিতেও ঘুরে বেড়ায়। সাধারণ জেলিফিশের চেয়ে অনেকটাই আলাদা এই জেলিফিশ নিয়ে এখন গবেষণায় ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।