নেপালে ৪.৮ ও ৫.৯ মাত্রায় পরপর দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম নেপালের বাজুরার ডাহাকোটে ভূমিকম্প দুটি রেকর্ড করা হয়। তবে সকাল পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি। দেশটির ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
নেপালের সুরখেত জেলার সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের আধিকারিক রাজেশ শর্মা এএনআই-কে বলেন, প্রথম ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় রাত ১১:৫৮ মিনিটে ৪.৯ মাত্রায় এবং এর পরের ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় ১:৩০ মিনিটে ৫.৯ মাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ কার্যালয় বাজুরা জানায়, ভূমিকম্পে ফলে স্থানীয়রা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পশ্চিম নেপালের বাজুরার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোও ভূমি কাঁপতে দেখা গেছে। ভূমিকম্পের প্রভাব নিরূপণ করা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে বাজুরা জেলা পুলিশ কার্যালয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, নেপালের পশ্চিম অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল থাকলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে ভূমিকম্প রেকর্ড করা হচ্ছে। এর আগে ওই এলাকায় ভূমিকম্পে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। নেপালের পার্বত্য জেলা বাজুরা দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৮৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
নেপালে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখারা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে অন্তত ৮ হাজার ৯৬৪ জন নিহত এবং প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হন।