বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে মে দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনে শ্রমজীবী মানুষ অত্যন্ত মানবেতর অবস্থায় রয়েছে। এক দিকে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার হরণ করে কর্মপরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শ্রমিকরা বেকার হচ্ছে, অন্য দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। এ অবস্থায় মে দিবসে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক ও কর্মসঙ্কট দূরীভূত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। গণতন্ত্র ও সুশাসন ছাড়া এ দেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১মে মহান মে দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালী সফল করার লক্ষে বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি মহান মে দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়কে কেন্দ্র ঘোষিত শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালী সফল করতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, দেশের উন্নয়নের কারিগর হলো শ্রমজীবী মানুষ। সেই শ্রমিক সমাজ আজ অতিষ্ঠ। এ সরকারকে তারা আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সরকার দেশের বাক্স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এদের যত তাড়াতাড়ি বিতাড়িত করা যাবে, ততই দেশের মঙ্গল। তিনি দেশের সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, জনগণ এবং দলীয় নেতা কর্মীদের চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে সচেষ্ট নয়। তাই শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থবিরোধী ও ম্যান্ডেটবিহীন এই সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য শামসুল আলম, এনামুল হক এনাম, মোশাররফ হোসেন, হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, মন্জুর আলম মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, আবু মো: নিপার, অ্যাড. ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ন কবির আনসার, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, মইনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সেলিম চেয়ারম্যান, জাকের হোসেন, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ শাহেদ, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলে সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার উদ্দিন সেলিম, মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, বিভাগীয় শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহমেদ, উত্তর জেলার সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলার সভাপতি শপিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন সহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী দুঃশাসনে শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবন পার করছে
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন