১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের দূর্লভ ছবি নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাস দেবুর দ্ইুদিন ব্যাপি আলোক চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চট্রগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত এ চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাধারন সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদসহ বিশিষ্টজনেরা।বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
উদ্বোধনী অনুষ্টানে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল এক দু:সহ স্মৃতি। সে স্মৃতি এখনও কাঁদায় স্বজনহারা মানুষগুলোকে। সাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাস দেবুর তোলা ছবিগুলিতে সেদিনের ভয়াবহতা উঠে আসে। এমন ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা আর না ঘটার জন্য বর্তমান সরকার নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অরক্ষিত উপকূলে নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। গড়ে তোলা হয়েছে বেড়িবাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র। নির্মাণ করা হয়েছে আউটার লিংক রোড। এছাড়া আরও নানা পদক্ষেপের কারণে আগামীতে এমন দু:সহদিন আর ফিরে আসার আশঙ্কা নেই। তারপরও মানুষের সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাস দেবুর দুইদিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৫২টি দূর্লভ ছবি। যেসব ছবি সে সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তোলা। আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার শুরু হওয়া এ চিত্রপ্রদর্শনী ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ল-ভ- করে দিয়েছিল দেশের উপকূলীয় জনপদ। এদিন প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত এবং ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস তছনছ করে দিয়েছিল উপকূলীয় জনপদ। সেদিনের ঘটনায় দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয়। ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।
২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাস দেবুর আলোক চিত্রপ্রদর্শনী
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন