একেই বোধহয় বলে শেয়ানে-শেয়ানে টক্কর! আইপিএলের ফাইনালটা হলোও তেমন। পুরো ম্যাচটাই দুলেছে পেন্ডুলামের মতো! কখনো চেন্নাইয়ের দিকে তো কখনো সেটা হেলে পড়েছে গুজরাটের দিকে! রুদ্ধশ্বাস এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস, জিতলো আইপিএলের পঞ্চম শিরোপা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ১৩ রান। শেষ ওভার করতে আসা গুজরাট পেসার মোহিত শর্মার প্রথম চার বল থেকে মাত্র ৩ রান যোগ হয় চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ডে। শেষ দুই বলে ১০! কঠিন সমীকরণ যেন নিমিষেই মিলিয়ে ফেলান জাদেজা। পঞ্চম বলে ছয় ও শেষ বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার, ব্যস জয়ের বন্দরে চেন্নাই! ডাগআউট থেকে ছুটে আসেন সতীর্থরা, জাদেজা তখন ব্যাট হাতে ছুটছেন মাঠের চারপাশে!
আহমেদাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আইপিএলের ফাইনালে গুজরাটকে ডিএলএস মেথডে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই। এই জয়ে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সবচেয়ে বেশি পাঁচবার শিরোপা জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসালো ধোনির দল।
এদিন আগে ব্যাটিং করে ২১৪ রান করে গুজরাট। চেন্নাই লক্ষ্য তাড়া করতে নামলেই বৃষ্টি নামে। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর খেলা শুরু হলে চেন্নাইয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৭১ রান।
বৃষ্টি থামার ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার ঋতুরাজ গাইকোয়াড ও ডেভন কনওয়ে। দুজনে মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি, পাওয়ার প্লের চার ওভারেই স্কোরবোর্ডে যোগ হয় পঞ্চাশের বেশি রান। ঋতু করেন ২৬ ও কনওয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।
এরপর তিন নম্বরে নেমে ১৩ বলে সমান দুইটি করে চার-ছক্কায় ২৭ রানের ক্যামিওতে ঝড়ে হাওয়া দেন আজিঙ্কা রাহানে।
তিনি ফেরার পর আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচ খেলা আম্বাতি রাইডুও খেলেন ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিও। ততক্ষণে থিতু হয়েছেন শিভম দুবে।
রাইডু ফেরার পরের বলেই খালি হাতে ফেরেন ধোনি। তবে তাতে সমস্যা হয়নি। জাদেজা-দুবে মিলে ঠিকই চেন্নাইকে জয় এনে দেন। ব্যাট হাতে দুবে করেন ৩২ ও জাদেজা করেন ১৫ রান।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিলের ব্যাটে দারূণ শুরু পায় গুজরাট। দুজনে মিলে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ধোনির অবিশ্বাস্য স্টাম্পিংয়ে আউট হওয়া গিল করেন ৩৯। ৬৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন সাহা-সুদর্শন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ রান যোগ করেন তারা। ৩৯ বলে ৫৪ করে আউট হন সাহা।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে সাই সুদর্শন গড়েন ৮১ রানের জুটি। যার মধ্যে ৬০ রান ছিল তারই। ৩৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করা সুদর্শন ফেরেন ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে। ৪৭ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৯৬ রান করে আউট হন তিনি। অন্য প্রান্তে ১২ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন পান্ডিয়া। আর এতে ২১৪ রানের পুঁজি পায় গুজরাট।
রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল জিতে মুম্বাইয়ের পাশে চেন্নাই
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন