চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে। দিন যত যাচ্ছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল ততই দীর্ঘ হচ্ছে। ঢাকার বাইরেই ডেঙ্গুর দাপট বেশি। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। একদিনে আরও ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ১২ দিনে মারা গেছেন ১৫৯ জন। দেশে এ পর্যন্ত ৭৫২ জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। একদিনে ডেঙ্গুতে ২ হাজার ৯৫৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ২২৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে রাজধানীতে ৬৮ হাজার ৯৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮৫ হাজার ২৯১ জন। মৃত ৭৫২ জনের মধ্যে নারী ৪৩৫ জন এবং পুরুষ ৩১৭ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ২২১ জন এবং রাজধানীতে ৫৩১ জন।
আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৯৫৬ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯১১ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৪৫ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৯৫৬ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৫ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ২২২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৭৯৩ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ২২৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৯৫ হাজার ১২৫ জন এবং নারী ৫৯ হাজার ১০৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৬১ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরের ১২ দিনে শনাক্ত রোগী ৩০ হাজার ৪২০ জন এবং মারা গেছেন ১৫৯ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।