শফিউল আলম,রাউজানঃ রাউজানে কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার হিসাবে পরিচিত পৌর এলাকার নয় নং ওয়ার্ড। ১২জুন বুধবার রাউজান পৌরসভার হযরত গফুর আলী গোস্তামী বাজার প্রকাশ (চারাবটতল বাজার) পরিদর্শন কালে দেখা যায়, পর্যাপ্ত গরু, মহিষ ও ছাগল বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছে ক্রেতারা। ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতিতে বাজার সরব থাকলেও বিক্রি হয়েছে তুলনা মূলক কম। তবে বাজারে ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের গরু উঠেছে। বারাকা এগ্রো ফার্মের উন্নত জাতে বড় আকৃতির গরু বাজারে স্থান পেয়েছে ক্রেতাদের জন্য। এই বাজারে গরু ছাগলের পাশাপাশি মহিষের জমজমাট বাজার ছিল। মহিষ ক্রেতাদের দেখা মেলে চট্টগ্রাম-রাঙমাটি সড়কের গরু বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে। তুলনা মূলক গরু ছাগলের দাম সহনশীল পর্যায়ে বলে জানান ক্রেতারা। এ বাজারে বারাকা এগ্রো ফার্মে লালন পালন করা বড় জাতের গরু ক্রেতাদের দৃষ্টিতে আকর্ষণ পরিলক্ষিত হয়। দেশীয় জাতের সব চেয়ে বেশি উঠেছে এই বাজারে। মধ্যবৃত্ত ও নিম্ন মধ্যবৃত্ত ক্রেতারা ঝুঁকছে দেশীয় ছোট গরুর প্রতি। তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির জন্য গরু ছাগল দরদাম করতে। গরু ক্রয় করতে আসা যুবলীগ নেতা হাসান মোহাম্মদ রাসেল বলেন, দেশীয় গরু মহিষের জন্য বিখ্যাত চারাবটতল বাজার। প্রতি বছর এ বাজার থেকে কোরবানির পশু নিয়ে থাকি। এবছরও গরু কিনতে এসেছি। চারাবটতল বাজার মনিটরিং এ থাকা স্থানীয় কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চারাবটতল বাজারটি সম্পর্ণ বিনা হাসিলে গরু ছাগল ও মহিস বিক্রি করা হয়। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজের নির্দেশনায় বাজারটি হাসিল মুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তায় পুলিশ ও সেচ্ছাসেবক কাজ করছে। পৌর মেয়র সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করছেন। আগামী শনিবার কোরবানির শেষ বাজার। শেষ বাজারে ত্রিশ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন।
রাউজানের সবচেয়ে বড় পশুর হাট চারাবটতল বাজারে জমজমাট বিকিকিনি
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন