দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মচারীরা, যারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন, গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, সংবিধান নষ্ট করেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর সেনবাগের লালপুরে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে হবে। আওয়ামী দুঃশাসনের দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারীরা যারা শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করেছেন, গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই সরকার যেন একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।বিএনপির চে
জয়নুল আবেদীন ফারুক আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করেছেন শেখ হাসিনা। উঠতি সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগার দিনে এনে দিনে খাওয়া গরিবের ওপরেও ট্যাক্স নির্ধারণ করেছে, মানে ব্যক্তিগত ট্যাক্স।’
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে আমার নেতারা কথা বলতে পারে নাই, মামলা দিয়ে তাদের বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। সেই কারণে আপনারা অনুগ্রহ করে একটু ধৈর্য ধরুন। এখন পানি কিছু শুকিয়েছে এখনও ঘরের মধ্যে কাঁদা, এখন আপনাদের সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক।’
সুস্থ নির্বাচন হলে জনপ্রতিনিধিরা আসবে জানিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হবে না। আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, এক মাথা এক ভোট, আমার ভোট আমি দেব এবং স্বাচ্ছন্দ্যে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যারা ভোট দিতে পারব সেই ভোটেই তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হতে চান। মৃত ব্যক্তি, চোরা ভোট ও রাতের ভোটে তারেক রহমান জয়ী হতে চান না, প্রধানমন্ত্রী হতে চায় না।’ তাই আপনাদের কাছে আমার আবেদন থাকবে আপনারা আমাকে পাঁচবার এমপি করেছেন আমি যতটুকু পেরেছি আপনাদের সহযোগিতা করেছি এখনো ছুটে এসেছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন: সেনবাগ উপজেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল্লাহ বিএসসি, সেনবাগ উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন আনসারী তিতুমীর, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও ৬ নং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।