চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় একদিনের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ না দিলে কঠোর আন্দোলন হুশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টের মূল গেটে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে দুদিনের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে পুনরায় একদিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। একদিনের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমনা ৩৫টি ক্লাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অনার্সের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, চারটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ হয়নি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বেশি অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যের এ ধারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আগেও ছিল এখনো আছে। বিভিন্ন অজুহাতে এখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে কী চবি থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের একটি আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সেটার মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হলেও এখনো আমি শিক্ষা জীবন শেষ করতে পারিনি। আমার জন্য কি বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটি আইডি কার্ড দিবে?
সরকার পতনের পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ১০, ১১, ১২ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, প্রক্টরিয়াল বডি ও হলের প্রভোস্টরা। এরপর থেকে অচল বিশ্ববিদ্যালয়টি।