চাটগাঁ আলোকিত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে নগরীর সিআরবি শিরীষতলায় ইসলামী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও মজলিশে কাউয়ালী আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। হামদ্, না’তে রাসূল (দ.), গজল, দেশাত্ববোধক গান, মরমী সঙ্গীত, মাইজভাণ্ডারী সংগীতসহ নানা উজ্জ্বীবনধর্মী সংগীত পরিবেশনা মুগ্ধ হয়ে শুনেন হাজারো জনতা।
এতে সভাপতিত্ব করেন চাটগাঁও আলোকিত ফাউন্ডেশনের সভাপতি পীরে তরিকত আল্লামা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্। চাটগাঁও আলোকিত ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সংগঠক মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্ বলেন, নতুন প্রজন্মের বড় এক অংশ আজ অবক্ষয়ের শিকার। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অভাবিত বিকাশ ঘটলেও বর্তমান প্রজন্মের একটি অংশ প্রাযুক্তিক অবক্ষয়ের নিমজ্জিত। ফলে তারা দেশ ও জাতির বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতাশ্রয়ী। সংস্কৃতির পূনরুজ্জীবন ঘটিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে আলোকিত ও নৈতিক মানে উন্নীত করতে হবে। সর্বব্যাপী অবক্ষয় রুখতে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে ইসলামী সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করার তাগিদ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, মহানবীর (দ.) দুনিয়ার শুভাগমনে মানবজাতিসহ জগৎবাসী অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে এসেছে। মহানবীর (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমন আল্লাহ পাকের সেরা নিয়ামত ও অনুগ্রহস্বরূপ। তাই মানবজাতি নিয়ামতের শুকরিয়া হিসেবে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদ্যাপন করে আসছে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) চেতনায় সুন্নি সুফিবাদি জনতার জাগরণ ঘটিয়ে সুন্নিয়তবিরোধী সমস্ত ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা সারা দেশে ওলী বুজুর্গের মাজার ও জশনে জুলুসে হামলায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। তাঁরা বলেন, আউলিয়ায়ে কেরামের মাজার শরীফগুলো আমাদের ঈমানি চেতনা ও অস্তিত্বের প্রতীক। তাই মাজারে হামলা মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। এই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ঘৃণাবোধ জাগ্রত করতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্টকারীদেরকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠান প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ মোশারফ হোসাইন ও আরিফুল ইসলাম বাদন’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ নুরুল আবছার, আজিম উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আলী হোসেন আরিফ, মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বঈদী, মুহাম্মদ শোবাইর কাওয়াল, মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান, মুহাম্মদ তারেক আবেদীন কাদেরী, মুহাম্মদ আজাদ রানা, মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী, মুহাম্মদ রবিউল হোসাইন সুমন, মুহাম্মদ আসরার তানজিম আলমদার, মুহাম্মদ নুরুল মোস্তফা, মুহাম্মদ মহিউদ্দিন তানভীর প্রমুখ। পরে মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি সমৃদ্ধি কল্যাণ এবং বিশ্বের মজলুম মানুষের নাজাত কামনায় মুনাজাত করা হয়।