সাইয়্যিদ মঞ্জু: ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে সমুদ্রে ইলিশ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর (রোববার) থেকে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুতও নিষিদ্ধ থাকবে।
তা ছাড়া সব ঘাটে সতর্কতামূলক ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
নিষেধাজ্ঞার এ সময় জেলেদের ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাংক ও এনজিওগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রজনন মৌসুম হিসেবে মা ইলিশ রক্ষায় টানা ২২ দিন সারা দেশে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এ সময়ে ভোলার মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় পুরোপুরি নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে গত কয়েক দিন ধরেই মাছঘাটগুলোতে সচেতনতামূলক মাইকিং ও ঘাটে ঘাটে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
১৯৫০ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস অ্যাক্ট, ১৯৫০) অনুযায়ী প্রতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে একটি নির্দিষ্ট সময় ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে শাস্তি দ্বিগুণ হবে।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসন। নিষিদ্ধ সময়ে সারাদেশের মাছের ঘাট, মৎস্য আড়ত, হাট-বাজারে অভিযান চালানো হবে। প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে বিভিন্ন টিম গঠন করে দেশব্যাপী চলবে তদারকি।