লেবাননজুড়ে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইসরাইলি বিমান হামলায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাগুলো শুধুমাত্র বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে অবস্থিত হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে করা হয়নি, বরং এমন সব এলাকাতেও করা হয়েছে যেখানে লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর থাকার কথা নয়।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈরুতের দক্ষিণে চৌফ অঞ্চলের একটি শহরে হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চৌফ জেলার জৌনে ইসরাইলি হামলার ফলে আট নারী ও চার শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।
সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, ভবনটিতে চলমান হিজবুল্লাহ ও ইসরাইল সংঘর্ষের কারণে বাস্তুচ্যুত লোকজন অবস্থান করছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, রাজধানীর পূর্বাঞ্চলীয় আলে অঞ্চলের আরও কয়েক কিলোমিটার উত্তরে একটি হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলাটি একটি বাড়িতে করা হযেছে যেখানে যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লোকেরা আশ্রয় নিয়েছিল।
অন্যদিকে, দক্ষিণ লেবাননের টায়ার এলাকায় ইসরাইলি হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তবে, অন্যরা কোন অঞ্চলে নিহত হয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় হামলা শুরু করলে তখন থেকেই সীমান্তে লড়াই করে আসছিল লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি সেনাবাহিনীরা। তবে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে লেবাননে হামলা জোরদার করে দখলদার বাহিনী। গত এক বছরে ইসরাইলি হামলায় লেবাননে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।