শফিউল আলম, রাউজানঃ রাউজানে একাধিক ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় জোরপূর্বক সড়ক প্রশস্তকরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মো. মুছা প্রকাশ চায়না মুছা নামে এক ব্যক্তি একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন জায়গার উপর ২০ ফুটের অধিক সড়ক প্রশস্তকরণ করতে মাটি ভরাট করেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলজিইডির সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হযরত রুস্তম শাহ (রা.) সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এসড়কের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মো. মুছা প্রকাশ চায়না মুছা নামক এক ব্যক্তি তার বাড়ির ব্যক্তিগত সড়কটি প্রশস্তকরণের জন্য জোরপূর্বক দখল করে সড়কের পাশের জমিগুলো ভরাট করে ফেলেছে। জমির মালিকদের অন্যতম মো. রফিকুল আলম বাদি হয়ে মরহুম মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে মো. শফিকুল আলম প্রকাশ শফি ব্রোকারী (৫০), মো. শফিকুল আলম প্রকাশ শফি ব্রোকারীর ছেলে তহিদুল আলম (৪০), ও মোঃ মুছা (২৮), মরহুম বাদশা মিয়ার ছেলে হলদিয়া ইউপির অপসারিত চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (৭৪)’কে বিবাদী করে রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বিবাদীগণ বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আমাদের মৌরশী জায়গার উপর দিয়ে সিট ও ম্যাপে না থাকা স্বত্ত্বেও মুছা প্রকাশ চায়না মুছা ও তার পরিবারের সদস্যদের চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরী করলে বাধা দেওয়া স্বত্ত্বেও মাটি ভরাট কাজ সম্পন্ন করেছিল। সর্বশেষ গত ৯ নভেম্বরেও উভয় পক্ষের সার্ভেয়ার দ্বারা বিরোধীয় তফশীলের জায়গা পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হলে প্রতীয়মান হয় যে বাদির মৌরশী কৃষি জমির উপর দিয়া বিবাদীগণের চলাচলের রাস্তায় সৃজন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। ভুক্তভোগী মো. রফিকুল আলম বলেন, চায়না মুছা তার ঘরের পাশে চলাচলের রাস্তাটি সরু করে রেখেছে। অথচ আমাদের জায়গার উপর বিশ ফুট রোড তৈরি করছে। আমরা শীঘ্রই প্রশাসনিক ব্যবস্থা চাই। বাদীর ছোট ভাই মো. জাফর বলেন, আমাদের জায়গায় জোরপূর্বক সড়ক প্রশস্থকরণ করা হয়েছে। সড়কটি পূর্বে ছিল মাত্র ৫ফুট। বর্তমানে তা প্রসশস্তকরণ করে করা হয়েছে ২২ ফুট।সড়কের জন্য আমরা চাইলে ৫ফুট জায়গা দিতে পারি, কিন্তু ১৫—১৬ ফুট জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। এখানে রাউজান উপজেলা প্রকৌশল অফিসেরও যোগসাজোশ রয়েছে বলে স্থানীয় সুমন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্কর বলেন, মুছা প্রকাশ চায়না মুছা খাস জায়গা দখল করে ২—৩গন্ডা ফ্লট বিক্রি করেছিল।আমিও একটি ফ্লট কিনেছিলাম।পাশের বাড়ীর ইউনুস হাজী নামে একজন জানান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে প্রভাব খাটিয়ে চায়না মুছা করেনি,এমন কোনো কর্মকাণ্ড বাকী নেই।অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার উপ—পরিদর্শক মো. আলমগীর বলেন, অভিযোগটি গ্রহণ করে রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবিরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন জায়গায় সড়ক প্রশস্তকরণের অভিযোগ
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন