ফটিকছড়ি দক্ষিণ জামায়াতের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আ ন ম আবদুশ শাকুরের সভাপতিত্বে প্রীতি সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর মুহাম্মদ আলাউদ্দিন সিকদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক নুরুল আমীন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমীর সৈয়দ আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, উপজেলা আমীর নাজিম উদ্দিন সিকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ফটিকছড়ির মাটি ইসলামী আন্দোলনের উর্বর ময়দান।
জামায়াত ইসলামী আগামীতে ফটিকছড়ির মাটিতে জনগণের ভূলুণ্ঠিত অধিকার ফিরিয়ে দিতে গণতান্ত্রিক পন্থায় ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের আমীর শাহাজাহান চৌধুরী।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জামায়াতের দক্ষিণ ফটিকছড়ি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ মাটির সন্তানেরা ইসলামী আন্দোলনের জন্য জীবন দিয়েছে। শহীদের রক্তস্নাত ফটিকছড়িতে আজ ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের পথ সুগম হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই ফটিকছড়ির জনপদে কোনো হত্যাকাণ্ড, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, মাদক চলবে না। এই ফটিকছড়িতে কোনো নাগরিকের অধিকার আর লুট করার সুযোগ কেউ পাবে না।
ফটিকছড়ির সাবেক এমপি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি জামায়াতকে অনেক গালাগাল করেছেন। কিন্তু আমরা জবাব দিব না। জবাব আগামী সংসদ নির্বাচনে দেব। আপনি অনেক খেলা খেলেছেন। ফটিকছড়িতে আপনি ফেতনা ছড়িয়েছেন, ফ্যাসাদ ছড়িয়েছেন। জামায়াত-শিবিরকে দাবাতে পারেননাই। আমরা তরিকতে বিশ্বাস করি, বেদায়াত পছন্দ করিনা। আপনারা ১৪ দল জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিলেন। শেখ হাসিনা ফুলেফেঁপে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে ৩১ জুলাই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে দিল। এই নিষিদ্ধ ঘোষণার ৫ দিনের মাথায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পালাতে হলো। এটাই তরিকত, এটাই জামায়াতের কেরামত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমীন বলেন, ফটিকছড়ির মাটিতে আমাদের শহীদেরা জীবন দিয়ে গেছেন। ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের ওপর অবধারিত কর্তব্য। ফটিকছড়িতে বিগত সরকারের নেতৃত্বগুলো শুধুমাত্র হত্যা, লুটপাট, সন্ত্রাস ও রাহাজানির নিদর্শন স্থাপন করে গেছে। এ জনপদের সামাজিক বন্ধনকে ভেঙে গুড়ো গুড়ো করেছে। এ জনপদকে ভয়ের জনপদে পরিণত করেছে।
ফটিকছড়ি পেশাজীবী ইউনিটের থানা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক ও ফটিকছড়ি দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সেলিম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় প্রীতি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল করিম, জেলা শূরার সদস্য আব্দুল জব্বার, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট ইসমাইল গণি, ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইউসুফ বিন সিরাজ, হাটহাজারী উপজেলার সেক্রেটারি অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী, উপজেলার ওলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, এজহারুল ইসলাম, নাজিরহাট পৌরসভার সভাপতি বায়েজিদ হাসান মুরাদ, সেক্রেটারি শামসুল আরেফিন আরিফ, ছাত্রশিবিরের জেলা পূর্বের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, শফিউল আলম নূরী।