বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটেছে কিন্তু বিভিন্ন সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরেরা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্টান থেকে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পারলে চলমান অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় নগরীর নাসিমনভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অংগ সংগঠন সমূহের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, অবিলম্বে দূর্নীতি দমন কমিশন পূর্নগঠন করে দূর্নীতি ও লুটপাঠের সাথে জড়িত পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশ থেকে পাঁচার হওয়া লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামীলীগ ১৭ বছরের শাসনামলে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির মত এত দীর্ঘ সংগ্রাম কোন সময়ে কেউ করেনি। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী জেল, জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে কিন্তু কেউ আদর্শচ্যুত হয়নি। বিএনপি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অপ্রতিদ্বন্দী রাজনৈতিক দল। তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বৈষম্যহীন একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মানের মূল মন্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন, অন্তবর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্টা হলে চলমান অস্থিরতার অবসান হবে। তিনি বলেন, আমি মেয়র হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে এসেছি। চট্টগ্রাম মহানগরীকে ক্লিন সিটি ও গ্রীন সিটিতে পরিণত করার কাজে বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করা হবে। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে শিগগির খাল কাটা কর্মসূচী চালু করা হবে।
কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম রাসেল, মহানগর বিএনপির নেতা এস.এম আবুল ফয়েজ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও তরুণ রাজনীতিক সাঈদ আল নোমান তূর্ষ, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ.ম. জামাল, হালিশহর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম, বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন জিয়া, মহসীন আলী চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন, শাহীন আহমেদ কবির, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক এস.এম. ফরিদুল আলম, নাসিরাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান, সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খাজা আলাউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খাঁন, দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, রামপুরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইবনুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল আলম সওদাগর, বিভাগীয় শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক এম.এ বাতেন, পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এম. আজাদ, লালখান বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দাদন দরি সরুজ, উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আরজু, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ রাসেল, মহসীন কবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।