নিয়মিত সমিতির চাঁদা, চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করায় ৮৬৭ জন আইনজীবীর সদস্যপদ ও ৮৩টি চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করেছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহ্বায়ক এ.কে.এম মকবুল কাদের চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সমিতির পক্ষ থেকে ৯ (১), ৯ (২), এবং ৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ডিফল্টার সদস্য, দীর্ঘদিন চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করা, বিভিন্ন চৌকিবারে মূল সদস্যপদ থাকা সত্ত্বেও সমিতির সদস্যপদ নিয়ে চেম্বার বরাদ্দ ও এমবি ফান্ডের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করাসহ নানা কারণে ৮৬৭ জনের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
তাছাড়া ৯ (১), ৯ (২), এবং ৯ (৩) ধারায় অপেশাদারদের ১৭টি, চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল, ভাড়া পরিশোধ না করায় ১৬টি, সমিতির চাঁদা পরিশোধ না করায় ২৩টি, চৌকিবারে সদস্যপদ রেখে সমিতিতেও সদস্য হয়ে চেম্বার বরাদ্দ ও এমবি ফান্ডের সুবিধা গ্রহণের কারণে ২৭টিসহ মোট ৮৩টি চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন ব্যাংকে স্থিত লভ্যাংশসহ নগদায়নকৃত এফডিআরের টাকা পুনরায় এফডিআর হিসেবে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৯০ সালে হয়েছিলেন বহিষ্কার / ‘৫২ বছর বয়সে ফের এসএসসি পরীক্ষায় বসলেন ইউপি সদস্য’
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ বলেন, সভায় ছয়টি প্রস্তাবের মধ্যে ১২ (৪) ধারা মোতাবেক ডিফল্টার সদস্যদের ঋণ স্থগিতকরণ এবং দীর্ঘদিন চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করা আইনজীবীদের বিষয়ে পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত উপস্থাপনের বিষয়টি আমার এখতিয়ারাধীন ছিল। ৫৭ জন সদস্য তাদের চাঁদা পরিশোধ করেছেন।
অবশিষ্ট ৬০৮ জন চাঁদা পরিশোধ করেননি। অন্যদিকে, ২৮ জন সদস্য চেম্বার ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন। সমিতির চাঁদা ও চেম্বার ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল যারা পরিশোধ করেননি তাদের সদস্যপদ ও চেম্বার বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট মকবুল কাদের চৌধুরী বলেন, দায়িত্ব নিয়ে আমরা প্রথমেই অপেশাদার আইনজীবীদেরকে চিহ্নিত করে তাদের সদস্য পদ বাতিলসহ বরাদ্দকৃত চেম্বার বাতিলের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এবি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৪১ কোটি টাকা এফডিআার ও নগদায়ন করা আছে। এখন নানামুখী সমস্যায় দুর্বল ব্যাংকে রাখা টাকাগুলো আমরা কিছু করতে পারছি না। তবুও নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে কয়েকটি ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা উদ্ধার করেছি। বাকি টাকা নগদায়ন ও নতুনভাবে সঞ্চয়ের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। সমিতিকে স্বাবলম্বী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।