শিক্ষা বিস্তারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিনিয়োগ ও ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নগরীর শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজাতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দক্ষিণ পতেঙ্গার এয়ারপোর্ট রোড সংলগ্ন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শাহীন কলেজ রোডের উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এসময় মেয়র বলেন, বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে একমাত্র চসিকই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করে থাকে। বর্তমানে ৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করছে চসিক। এক্ষেত্রে প্রতি বছর যে ভর্তুকি দিতে হয় সেটিকে আমি ব্যয় মনে না করে বিনিয়োগ মনে করি। কারণ শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও সর্বোপরি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য মেয়র হিসেবে আমি শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো।
তিনি বলেন, শিক্ষা এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে বিনিয়োগ করলে একটি আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতি মাসে চসিককে ছয় থেকে আট কোটি টাকা শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়, যা আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। এটি শুধু ভোটের বিষয় নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।
মেয়র শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, অভিভাবকের পর যারা ছাত্রছাত্রীদের সবচেয়ে বেশি সময় দেয় তারা হলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। কাজেই শিক্ষক-শিক্ষিকা যদি ছাত্রছাত্রীদের সবসময় মনিটরিং করে নীতিবাক্য শোনায় তাহলে দেশকে একটা ভালো জায়গায় আনতে পারবো আমরা। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ব্রেকফাস্ট খেয়েছে কি না এটাও মনিটরিং করতে পারে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অনেক শিক্ষার্থী সকাল ১০টায় আসে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত স্কুলে থাকে। এই দীর্ঘ সময় তাদের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য মিড-ডে মিল চালু করা অত্যন্ত জরুরি। ছাত্রছাত্রীদের যদি ব্রেন ডেভেলপমেন্ট করতে হয়, ব্রেনওয়ার্ক করাতে হয় এগুলোর কোনো বিকল্প নেই।
উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, ঘাঁটি অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল হায়দার আব্দুল্লাহ, এয়ার কমোডর মাহমুদ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন জালাল উদ্দিন, সালেহ আহমেদ খান, অ্যাডজুট্যান্ট স্কোয়াড্রন লিডার আব্দুল মুমিত ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী।