জেরুজালেমের একটি পিৎজা রেস্তোরাঁয় ফিলিস্তিনিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় আহত হয়েছিলেন তিনি। ২২ বছর ধরে ছিলেন কোমায়। অবশেষে মারা গেলেন চানা নাচেনবার্গ। সারো পিজেরিয়ায় ২২ বছর আগে যখন হামলা চালানো হয় সে সময় নাচেনবার্গের বয়স ছিল ৩১ বছর। সেদিনের হামলায় সাত শিশু এবং একজন গর্ভবতী নারী সহ আরও ১৫ জন নিহত হয়।
২০০১ সালের আগস্টে বোমা হামলার ফলে মারা যাওয়া তৃতীয় মার্কিন নাগরিক তিনি। সেদিনের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক নারীকে জর্ডানের কাছ থেকে হস্তান্তর চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। আহলাম তামিমি, একজন জর্ডানের নাগরিক যিনি সেই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাস করতেন। ২০০৩ সালে একটি ইসরায়েলি আদালত তাকে হামলার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। তাকে ২০১১ সালে বন্দী থাকা একজন ইসরায়েলি সৈন্যকে মুক্ত দেয়ার চুক্তির অংশ হিসাবে জেলের বাইরে আনা হয়। ইজ আল-দিন শুহেইল আল-মাসরি নামের এক ব্যক্তি ওই হামলা চালিয়েছেন বলে পরবর্তীতে জানা যায়।
ওই হামলাকারীকে সহায়তা করেছিলেন তামিমি।
মুক্তি পাওয়ার পর তিনি জর্ডানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ভয়াবহ ওই হামলার জন্য তিনি অনুতপ্ত নন বরং গর্বিত বলে জানিয়েছেন তামিমি নিজেই। তামিমি এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায় রয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে আমেরিকানদের বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে প্রত্যর্পণ করা হচ্ছে।
জর্ডানের হাইকোর্ট আগের একটি আবেদন খারিজ করেছে। হামলায় নিহত অন্য দুই মার্কিন নাগরিকের একজন মাল্কি রথ তার বয়স ছিলো তখন ১৫ বছর। মাল্কির বাবা-মা -ও তামিমির প্রত্যর্পণ কার্যকর করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে। পশ্চিম জেরুজালেমের কেন্দ্রে একটি ব্যস্ত মোড়ে সারো রেস্তোরাঁটিতে যখন ৯ আগস্ট হামাসের সদস্য তামিমি এবং মাসরি প্রবেশ করেছিল তখন সেটি গ্রাহকে পরিপূর্ণ ছিল। সেদিনের হামলায় নিহতরা ছাড়াও প্রায় ১৩০ জন আহত হন। এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের একাধিক আত্মঘাতী বোমা হামলার মধ্যে একটি ছিলো।