মিনিটে মিনিটে ডেঙ্গু রোগী আসছে হাসপাতালে। হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জুলাই মাসের ২৮ দিনে ১৮২ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৬ হাজার ২২৭ জনে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৯ জনে। এর মধ্যে নারী ১২৭ জন এবং পুরুষ ১০২ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৫০ জন এবং রাজধানীতে ১৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫০৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৬১ জন। তবে শুক্রবার ছুটি থাকায় সরকারি একটিসহ মোট ২৫টি হাসপাতাল ডেঙ্গু রোগীর তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করেনি।
আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৫০৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯০৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৯৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ১ হাজার ৫০৩ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৭৬ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৮৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৮০৬ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২০৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ২৮ হাজার ২৩৯ জন এবং নারী ১৫ হাজার ৯৬৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ হাজার ৩০০ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ৩৬ হাজার ২২৭ জন এবং মারা গেছেন ১৮২ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।