ফটিকছড়ি প্রতিনিধি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির (বিএসপি) একতারা প্রতীকের ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীকে সমর্থন দিচ্ছেন এমন গুঞ্জনেও গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে উপজেলার ভুজপুরের বিভিন্নস্থানে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন মানেই হচ্ছে একটি কম্পিটিশন, এখানে চ্যালেঞ্জ থাকবে, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। দলীয় প্রধান হোক, যেই হোক, কাউকেই ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। প্রথমে আল্লাহর উপর এবং এরপর আমার ফটিকছড়িবাসীর উপর আমার আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তারা ইনশাআল্লাহ সঠিক সময়ে সঠিক সিন্ধান্ত নিবে। আসনটিতে বিএসপিকে সমর্থন দিচ্ছে আ.লীগ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আপনারা যেমন শুনেছেন, তেমনি আমিও শুনেছি, আমার কাছে এমন কোন তথ্য নেই, সরাসরি আমাকে কেউ বলেনি। এতে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন মুহুরী,আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ বাকের,মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন,বখতেয়ার সাঈদ ইরান,আবুল বশর প্রমুখ। শুক্রবারও তিনি রোসাংগরী ইউনিয়ন,সমতিরহাট,নানুপুর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে ব্যপক গণসংযোগ ও পথসভা করেন। উল্লেখ্য গত ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাত করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, ফটিকছড়ি আসনে সুপ্রিম পার্টিকে সমর্থন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনকে গুজব দাবি করে পরদিন বিক্ষোভ সমাবেশ করে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা এবং ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরিকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ একতারাকে সমর্থন করে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন এমন সংবাদও রটে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,দলের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল আকবর ফোন দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ফটিকছড়ি আসনে একতারা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নৌকার প্রার্থীকে প্রচারণা থেকে সরে যেতে হবে। ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন মুহুরী বলেন, আমাকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে আমরা এ পর্যন্ত এসে কোন ফর্মুলায় নির্বাচন থেকে বের হয়ে আসবো সেটা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলছি। এদিকে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা যখন তুঙ্গে এমন সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষুব্ধ ও হতাশ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা এখনও আশা করছেন এমনটি হবেনা। খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।