পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দমিয়ে রাখতে, রাজনীতি থেকে তাকে মুছে ফেলতে নানা রকম ফন্দি আঁটা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাকে জেলে ভরে, দলকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করে, নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল করেও তার জনপ্রিয়তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এস্টাবলিশমেন্ট। তার দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও চমক দেখিয়েছেন। তারা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা। তিনি যদি জেলের বাইরে থাকতেন, রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন- তাহলে নির্বাচনের ফল কি হতো তা ভবিতব্যই। এখন কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সব ধরনের সাক্ষাতের ওপর দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার নোটিশ জারি করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। ইমরান খান বর্তমানে আছেন পাঞ্জাব রাজ্যের রাওয়ালপিন্ডিতে আদিয়ালা কারাগারে।
তাকে বিভিন্ন মামলায় মোট ৩১ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। আরও মামলা বিচারাধীন। নোটিশে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করা, বৈঠক ও সাক্ষাৎকারের মতো সব ধরনের পরিদর্শন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কারা চত্বরের বাইরে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আদিয়ালা কারাগারের মানচিত্র, বিস্ফোরকসহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। দেশটির সন্ত্রাস দমন বিভাগ (সিপিডি) এ কথা জানিয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের ৭ নভেম্বর আদিয়ালা কারাগারের এক কিলোমিটার দূরের একটি এলাকা থেকে বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।