জাহেদ কায়সার:: চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগ পড়েছে নগরবাসী। সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছ।
রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত থেকে শুরু হয় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি। অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় নগরের নিচু এলাকা।
নগরের কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, ওয়াসার মোড়, তিন পোলের মাথা, মেহেদীবাগ সিডিএ কলোনি এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরের উপকূলীয় এলাকা পতেঙ্গার আকমল আলী রোড সংলগ্ন জেলেপাড়াও তলিয়ে গেছে জোয়ারের পানিতে। এতে দুর্ভোগে পড়ে সেখানকার ৩ শতাধিক পরিবার।
সোমবার (২৭ মে) জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নগরজুড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এমএইচএম মোসাদ্দেক জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এরপর বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৯টা ২২ মিনিটে জোয়ার শুরু হয়। ভাটা শুরু হবে বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ২০৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।