চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশন এর নব দায়িত্বপ্রাপ্ত সিটি মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন কর্তৃক চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনগনের সাথে মতবিনিময়কালে এ ঘোষনাকে ঐতিহাসিক বলে দাবি করে হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে নগরবসাীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আন্দোলন হলেও বিগত সিটিকরপোরেশনের মেয়র বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে নগরবাসীর ওপর নতুন নতুন করের বোঝা চাপিয়েছেন। মেয়র ডাঃ শাহাদতের এই ঘোষনা তার পরিসমাপপ্তি হবে বলে আশা করে ভোগান্তি কমিয়ে মান সম্মত সেবা প্রদানে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দায়িত্বপালনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহবান জানান।
১১ নভেম্বর(সোমবার) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নির্বাচনী ট্রাইবুনালের ঐতিহাসিক রায়ে চট্টগ্রামের জনগনের নন্দিত জননেতা ডাঃ শাহাদত হোসেন কর্তৃক সিটিকরপোরেশনের দায়িত্বভার গ্রহনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন, তাঁর দায়িত্বপাল কালে নগরবাসী কাংখিত মাত্রায় নাগরিক সেবা উপভোগ করবেন, ভোগান্তি ও সেবার মান উন্নত হবে। একই সাথে সিটিকরপোরেশন এর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়ে জনগনের মালিকায় প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ক্যাবসহ বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও নগরবাসীরা বারংবার সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের পুরানো কৌশল হিসাবে প্রতিবছর হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর বিশাল একটি নোটিশ প্রদান করে পরে আপোষ ফরমুলায় দফা রফা করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আবার হোল্ডিং ট্যাক্স রিএসেসমেন্ট এর নামে মেয়রের কাছে আবেদন এর নামেও বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর এ কারণে নগরবাসীর বিপুল পরিমান হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থেকে গেছে। রাজস্ব আদায় ও হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতা নিশ্চিতে নাগরিক পরীবিক্ষন কমিটি গঠন করা দরকার। একই সাথে এই প্রক্রিয়ায় ভোক্তাদের প্রতিনিধি হিসাবে ক্যাব ও সিটিকরপোরেশনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বিবৃতিতে নেতৃবন্দ আরও বলেন, মেয়র শাহাদতের চট্টগ্রামকে সুন্দর ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটিতে পরিনত করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এই প্রক্রিয়ায় নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করা, কার্যক্রমের জবাদহিতা নিশ্চিত করা, ময়লা ও আবর্জনামুক্ত শহরে পরিনত করতে পরিছন্ন বিভাগের কাজের দৃশ্যমান নজরদারির পাশাপাশি নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর সুপারিশ করেন। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে সচেতন নাগরিকদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময় সভা আয়োজন করার সুপারিশ করেন। সিটিকরপোরেশনের সকল অফিস ও ওয়ার্ড পর্যায়ে অভিযোগ বক্সের পরিবর্তে টুল ফ্রি নাম্বারে হট লাইনে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি বের করার ্ওপর জোর দেন।