সমাবেশ করার আগে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভিন্ন আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতোবিনিময় সভা শেষ সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের প্রতি আমরা অনুরোধ করেছি, তারা যেন সমাবেশ করার আগে আমাদের জানায়। এতে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারবো।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আচরণবিধি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেনে চলছেন না। নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী সমাবেশ করার ২৪ ঘণ্টা আগে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর কথা রয়েছে। যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়। প্রার্থীরা জানাননি বলে কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, দুই একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সেসব বিষয়ে প্রার্থীরা আমাদের অভিযোগ করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগের সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। থানা মামলা নিয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করা হয়ছে। আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি, আগামী ৭ জানুয়ারি একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
জেলা প্রশাসক বলেন, সামনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। সন্দীপের ক্ষেত্রে নৌবাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করব। যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে সেগুলোকে কেন্দ্র করে আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে। সরকারের জন নিরাপত্তা বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যেখানে নিবার্চনের পরে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সকল ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন এবং বহন করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধের জন্য আমাদের কার্যক্রম চালানো হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, আমরা গত নির্বাচনের বেশকিছু জায়গায় এনাইলাইসিস করেছি, কোথায় কোথায় ঝামেলা ছিল। সেগুলো আমরা খুঁজে নিয়েছি। ওগুলাকে কেন্দ্র করে আমরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন করব। সে সমস্ত জায়গায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনা করেছি। ১৫টির মতো অস্ত্র আমরা উদ্ধার করেছি।
ঝুঁকিপূর্ণ আসনের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে আপনারা যেসব আসনে ঝুঁকিপূর্ণ বলেছেন সেসব আসনে আমরা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা কোনো আসনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখতেছি না এবার। ’
এসময় জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।