বন্যার্তদের পাশে সংগীতশিল্পী পিজিত,তৈরী করলেন “মানুষ” শিরোনামে গান।
প্রাকৃতিক দূর্যোগের হানায় লন্ডভন্ড দেশের বেশ কিছু অঞ্চল , যার সব চেয়ে বেশী ভুক্তভোগী ফেনী অঞ্চলের মানুষ, কেউ হারিয়েছে স্বজন,কেউ ঘর বাড়ী,কৃষি জমি গবাদী পশু, যা স্মরন কালের সব চেয়ে ভয়াবহ বন্যা, এবং ফেনীর মানুষের জন্য একদম নতুন অভিজ্ঞতা।
দেশের সর্ব স্থরের মানুষ নিজেদের সেরা দিয়ে ছুঠেছে ফেনীর মানুষের মানুষের কাছে,কেউ বা উদ্ধার করতে কেউ বা ত্রান নিয়ে।
সংস্কৃতি জগতের অসং্খ্য শিল্পী ও ছুঠেছে মানুষের জন্যে,দেশের জন্যে।
ফেনীর বন্যায় প্রথম থেকেই নিজের এবং কাছের সবার সহযোগিতা নিয়ে মানুষের কাছে ত্রান উপহার নিয়ে গিয়েছেন তরুন কন্ঠশিল্পী পিজিত মহাজন। প্রায় ৩দফায় ১৩ দিনের ফেনী বন্যায় কাজ করার কথা তিনি জানান। মানুষের কষ্ট এত কাজ থেকে দেখে তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে যায়,তৈরী করেন নতুন গান “মানুষ” যেখানে সমাজের সকল স্থরের মানুষ দের কাছে আকুতি জানান মানুষের পাশে দ্বাড়াঁতে।
গানের কথায় রয়েছে – আজ কাঁদছে আকাশ, কাঁদছে মাটি কাঁদছে আমার দেশ, জাত পাত ভুলে বাঁচাও স্বদেশ কেন এত বিদ্বেষ।
এ গানের কথা লেখার পাশাপাশি সুর দিয়ে খুব কম সময়ে গেয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেল পিজিত মহাজন অফিসিয়ালে রিলিজ দেন,প্রশংসা পাওয়ার পাশাপাশি দেশ বিদেশের অনেকেই মানবিক কাজে এগিয়ে আসেন
ঢাকা মিরপুরে গেয়েছেন বন্যার্তদের জন্য চ্যারিটি কন্সার্টে সাথে আরো ছিলেন তাঞ্জীব সারোয়ার এবং পূজা। নিজ উদ্যেগে ফেনীর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচশ মানুষের জন্য খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ান এ শিল্পী।
মানবিক এ কন্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী এবং তার নিজের গাওয়া “মধ্যবিত্ত” শিরোনামের আপকামিং গান চিত্রের বাজেটের সব অর্থ বন্যার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য ব্যয় করেন।
পিজিত মহাজন বলেন, এক লোকের চার তলা বাড়ি, ১ সপ্তাহ তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ নেই, পানিতে সবাই প্রায় হারিয়ে গেল,আমরা যখন ত্রান নিয়ে উনার কাছে গেলাম আনন্দপুর প্রায় এক পানিতে তখন অনেক রাত, সে লোকটি বলে ভাই আমার টাকা পয়সা খাবার কিছু লাগবেনা শুধু মোমবাতি দিন আমার বাচ্চা গুলোকে অন্ধকারে খুঁজে পাচ্ছিনা।
এসব দৃশ্য খুব ভয়াবহ ছিল।
দুই শিশু সহ এক মাকে পানি বন্দি ঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতাল এ ভর্তি করালাম,বাচ্চা গুলো প্রায় সুস্থ, তাদের জন্য যথাসাধ্য করে যাচ্ছি।
শান্তি হোক আমার দেশ,আবারো হাসি মুখে গাইতে চাই।
এই মানবিক কাজে যে ভাই ব্রাদার রা আমার সাথে ছিল সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা বিশেষ করে উদয় আমায় নৌকার ব্যাপারে সাহায্য করেন,এ নৌকাতে অনেকই রেস্কিউ করেছি,অনেক ডাক্তার ভাই ব্রাদার ওষধ দিয়ে কেউ বা কাপড় দিয়ে খাবার দিয়ে সহযোগিতা করেছেন,সংগীত শিল্পী কোনাল খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পাশে দ্বাড়িঁয়েছিল,প্রবাসী রিমন সীমান্ত ও সহোযীগিতার হাত বাঁড়িয়েছেন, সবার জন্য ভালোবাসা।