শফিউল আলম, রাউজানঃ রাউজান পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের জনসাধারণের বহুদিনের প্রত্যাশা একটি বিকল্প সড়কের। তৎকালীন পৌর মেয়রের সহযোগিতায় স্থানীয়দের জমি ও অর্থের বিনিময়ে সড়কটির কাজ শুরু হয় সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। প্রায় ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রশস্থ মাওলানা ওয়াজেদ আলী চৌধুরী সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের জমি দান করার পর সড়কের আংশিক অংশ নির্মাণের জন পৌর কর্তৃপক্ষ ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। বরাদ্দ প্রাপ্ত টাকায় সড়কের আংশিক নির্মাণ কাজ শেষে স্থানীয় মানুষের দানের টাকায় পুনরায় শুরু হয়ে আরসিসি ঢালাইয়ে নির্মিত হচ্ছে সড়কটি।
প্রায় ২০ লাখ টাকার বেশি টাকা ব্যয় হতে পারে বলেও ধারণা স্থানীয়দের। স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিরা জমি দান করলেও বর্তমানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ব্যক্তির একটি কলোনী নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে সড়ক প্রশস্থকরণে তাঁর দখলে থাকা সরকারি খাস জমি সড়কের জন্য ছাড়তে নারাজ। সড়কের জন্য খাসজমির দখলদারিত্ব ছাড়ছে না মোজাম্মেল নামে স্থানীয় এই ব্যক্তি।
স্থানীয় মনছুর হাসান চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি সড়কের জন্য খাঁস জায়গা উদ্ধার করতে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে রাউজান উপজেলা ভূমি অফিসের তহসিলদার সরেজমিন পরিদর্শনে যান।
স্থানীয় মনছুর হাসান চৌধুরী বলেন, রাউজান পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানা ওয়াজেদ আলী চৌধুরী সড়কটি আমাদের এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এই সড়কটি আমরা মানুষের দানের টাকায় নির্মাণ করছি। এলাকার দানশীল ব্যক্তিবর্গ জমি, নির্মাণ সামগ্রী ও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করলেও সরকারি খাস জমির দখলদারিত্ব ছাড়ছেনা মোজাম্মেল হোসেন।
অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সড়কের পাশে নালাসহ যে পরিমাণ জায়গা আছে তা পর্যাপ্ত। অভ্যন্তরিণ সড়কের জন্য এরচেয়ে বেশি জায়গা প্রয়োজন নেই। সরকারি খাস জমি তাদের দখলে আছে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, ছয় ইঞ্চি বা ১ ফুট মতো জায়গা আমার কলোনীতে ঢুকতে পারে। এই প্রসঙ্গে রাউজান পৌরসভার সহকারী প্রকৌলশলী ওয়াশিম আকরাম বলেন, ‘স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। আমাদের বরাদ্দের টাকায় সড়কের আংশিক অংশের কাজ শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে আমাদের কেউ জানায়নি। এই প্রসঙ্গে জানার জন্য রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মো. রিদুয়ানুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।