গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস. এম জিলানী’র গাড়ি বহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার কে হত্যা এবং এস এম জিলানী সহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুত্বর আহত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসন থেকে জনগণ মুক্তি পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়। খুনী হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী দুষ্কৃতিকারিরা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গতকাল আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারকে হত্যা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তাঁর সহধর্মিণী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা রতœা ও তাদের দুই ছেলে সহ কমপক্ষে ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা তারই নির্মম বহি:প্রকাশ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসনের নিকট ২৪ঘন্টার মধ্যে শওকত আলী দিদার এর হত্যাকারী এবং এস এম জিলানীর উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই। অন্যথায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আরোও কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য থাকবে।
তিনি আরোও বলেন, গত ১৫ বছর এদেশের মানুষ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি ছিল। আওয়ামী সরকারের অন্যায়, অবিচার ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারতোনা। মানুষের কন্ঠরোধে তারা দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিত। হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গোষ্ঠীর ছদ্মবেশে কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর এই হায়েনা আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। একটি শান্তি , সৌহাদ্য ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার জন্য। তাই জনগণের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ভাই দীর্ঘদিন পর তাঁর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নৃশংস হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রিড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারকে হত্যা ও এস. এম জিলানী, তাঁর সহধর্মিণী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা রতœা ও তাদের দুই ছেলে সহ কমপক্ষে ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের পতন হলেও পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার এবং তাদের দেশি-বিদেশি দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষনকারী কোন আওয়ামী সন্ত্রাসী এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। তারা বিভিন্ন স্থানে হামলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। অবিলম্বে এসকল অস্ত্রধারী গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এসকল সন্ত্রাসীরা আরোও বড় ধরনের নাশকতা করার অপচেষ্টা করবে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস. এম জিলানী গোপালগঞ্চ টুঙ্গিপাড়া নিজ গ্রামে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি বহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার কে হত্যা এবং এস এম জিলানী সহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর কাজীর দেউরি মোড় এপেলো শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে নুর আহম্মদ সড়ক, লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, জুবলী রোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক পদক্ষিণ করে পুনরায় কাজীর দেউরি মোড়ে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এইচ. এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, মজিবুর রহমান, এড. সাইদুল ইসলাম, সেলিম রেজা, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, এম এ সালাম, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, জহিরুল হক টুটুল, এম.আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু,সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আলম, আব্দুল হাই, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, এম. এ হানিফ, দিদার হোসেন, নুরুজ্জামান শিমুল, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, এমদাদুল হোসেন স্বপন, মোখলেছুর রহমান, মোঃ হাসান, রাসেল খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, মিজানুর রহমান সাইফুল, সাইফুল আলম দিপু, রবিউল ইসলাম, মোঃ সেলিম, শাহজাহান বাদশা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য লুৎফর রহমান জুয়েল, নুর আলম, নাসিরুল আলম মানিক, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, রাশেদ পাটোয়ারী, মো. পারভেজ, জাকির হোসেন মিশু, মোঃ পারভেজ, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন, হাসান মাহমুদ, সাজিদ হাসান রনি, এন মোহাম্মদ রিমন, আকতার হোসেন বাবলু, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শফিউল আলম শফি, রিদওয়ানুল হক, আনিসুজ্জামান পাটোয়ারী টুটুল, রিয়াজ উদ্দিন রাজু, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নোমান শিকদার সোহাগ, মহিউদ্দিন রুবেল, আনোয়ারুল আবদীন মুন্না, মোঃ কায়সার,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহালম, আব্দুর রশিদ টিটু, রাজিম উদ্দিন আকন্দ, জহুরুল ইসলাম জহির, জসিম উদ্দিন, মীর কাসেম, সজল বড়–য়া, হোসেন মো. মাসুম প্রমুখ।